বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
সিরাজদিখান,মুন্সিগন্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগন্জ সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সম্মুখে স্হানীয় হাইব্রিড নেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন বেলুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন স্হানীয় এলাকাবাসী, রায় বাহাদুর,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শত-শত শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্হরের নেতা-কর্মী ও উক্ত ইউনিয়নের দায়িত্বশীল কর্তা ব্যক্তিগণ।
১৯ ই মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকায় শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কয়েক শতাধিক স্হানীয় লোকজন ও ছাত্র-ছাত্রীরা এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
গত ৪ মার্চ শেখরনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি করায় ক্ষুব্ধ হন আনোয়ার হোসেন বেলু।উপজেলা বিএনপির সভাপতি,মোঃ আব্দুল্লাহ কে উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি করায় বিষয় টি দলীয় রুপ দেওয়ার বৃথা চেস্টায় মোঃ মহিউদ্দিন কে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা দলীয় ষড়যন্ত্র মূলক লিখা -লিখি করলে স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।পাপা-পাশি রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইন্সটিটিউট ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি অর্থে বালু ভরাটের টেন্ডার পাশ হয় যেখানে প্রতিফুট বালুর মূল্য এক টাকা অন্য দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ইছামতি খাল হতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে স্কুলের নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তি মানুষের জমি ভরাট করে অর্থ হাতিয়ে নেন। এক টাকা ধরে বালু ভরাটের বদলে বিদ্যালয়ের কোষাগার হতে ২ঃ৫০ পয়সা ফুট বালু দেখিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। সংখ্যা লগুদের জমি দখল করায় ভোক্তভোগী জনসাধারণও এ মানববন্ধনে যোগদনন করেন।
শেখরনগর ৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় কথিত আবাসন প্রকল্প তৈরী করে অনেকের নিকট প্লট বিক্রী করেন। উক্ত আবাসন এলাকায় মসজিদ ও খেলার মাঠ নির্মানের লক্ষে সরকারি জমি বরাদ্দ গ্রহন করলেও সরজমিন কোন মসজিদ ও খেলার মাঠ পাওয়া যায়নি।
দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে খাম খেয়ালী তে আছন্ন করে রাখার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে অনেক পুরনো।হাইব্রিড নেতা আনোয়ার হোসেন বেলু শেখরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যকরী কমিটির সদস্য।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্র ইউনিয়ন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হলেও পরবর্তী লেবাস বদলে বিকল্প ধারার ছায়াতলে কিছু দিন চলার পর কৌশলে আওয়ামী লীগে যোগদান করেই একের পর এক দল ও দলীয় সর্বোচ্চ নেতাদের বিরুদ্ধে জনসম্মুখ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষোদগারে লিপ্ত হন।মানববন্ধন হতে বক্তারা তার মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেন এবং এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন।
সেই সাথে দীর্ঘ সময় বিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করলেও কোন হিসাব দেননি তিনি।তার সকল হিসাবও দাবি করা হয়।মানবন্ধনে শেখরনগর ইউপির সদস্য মোঃ হেলাল খান,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন।